Cavil বা খুঁতখুঁতে বা খুঁত ধরা ভাব প্রায় অনেকের মধ্যে দেখা যায়, এর জন্য নিজেও যেমন অশান্তি ভোগ করছে তেমনি অন্যকেও অশান্ত করে দিচ্ছে
Visit our youtube channel
https://youtu.be/uRO3lKlSsbU
Many people love to have a sharp tiptop, কিন্তু নিজের প্রতি যতোটা না লক্ষ রাখেন তার চেয়ে বেশি অন্যের কাজের প্রতি বা দেহের প্রতি বা আক্টিভিটিস বা ব্যবহারের প্রতি একটু উচ্চমাত্রায় লক্ষ্য রাখার Try করে থাকেন, এর থেকে পার্সোনাল রিলেশন খারাপ হয়ে যায়
Each of us এর মধ্যে দু'টি সত্তার সহবস্থান দেখতে পাওয়া যায়, এক সত্তা খুঁতখুঁত, কন্ট্রোল ফ্রিক, অন্য সত্তা হল, 'লেট গো টাইপ', যা হচ্ছে হোক (নিয়তিবাদী)
আমাদের Mental নানা সমস্যা আছে, যার চিকিৎসাও আছে, কিন্তু খুঁতখুঁতেপনা ? একে কাটাতে না পারলে সমস্যা বাড়তে থাকে, কিন্তু চাইলেও কাটানো যায় না, এ হলো ব্যক্তিত্বের এক প্যাটার্ন, যার মূলে রয়েছে উদ্বেগ ও ইনসিকিউরিটি, এই মানসিক সমস্যার কোন ঔষধ নেই যা খেলে সেরে যাবে, অথচ এই সমস্যা যার আছে তার মানসিক শান্তি বার বার বিঘ্নিত হতে থাকে, ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, নিজের সাথে নিজে লড়াই করতে গিয়ে স্ট্রেসে আক্রান্ত হয়ে অনেক কিছুকে হারাতে হচ্ছে
Rabindranath Tagore আমাদের গর্ব, একজন মানুষ কত ধরনের (জীবনে) কাজ নিখুঁতভাবে করে গেছেন, ভারসাম্যের অভাব হয়নি, গান, নাটক, গল্প-উপন্যাস ছবি আঁকা আবার জমিদারি, শান্তিনিকেতনের বিশাল কর্মযজ্ঞ, পরিবার সব সামলে দেশে-বিদেশে বহু বার ঘুরে বেরিয়েছেন
A flurry of sorrows বারবার ভেঙে পড়েছে তবুও সামলে নিয়ে এগিয়ে গেছেন, নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর একাধিকবার অবসাদে ভোগেছেন, আত্নহত্যা করতে গেছেন, আবার সামলে নিয়েছেন, কারণ, পারফেকশনিস্ট হওয়া সত্বেও Balance করে চলেছেন তিনি, এটাই হলো জীবনের সার, আবার ভ্যান গগের কথা যদি ভাবি তাহলে দেখব, এতই অবসেসড ছিলেন যে শিল্প ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না, ফলে যখনই কোনো কাজ মনের মত হচ্ছেনা Exhaustion এ ডুবে গেছেন, শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যার চরম অবসাদ থেকে মুক্ত হয়েছেন
আমার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করছি এইজন্য যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে অন্যও অভিজ্ঞ হতে পারবেন, আমার প্রিয় এক বন্ধু (Doctor) যিনি প্রায় 10 বছর ধরে আমার সুস্থতার জন্য নিঃস্বার্থভাবে সেবা করে গেছেন, এমন মহতী হৃদয়ের মানুষ খুব কম পাওয়া যায়, তিনি প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে ভীষণ সিরিয়াস, সিরিয়াসনেস খুঁতখুঁতে ভাব নিয়ে এসেছে, উনি এতটাই অবসেসড যে রোগীকে রেফার করে ও চুপ করে বসে(To sit)থাকতে পারেন না, ফলোআপ করে যান, ফলে নিজের সময়, বিশ্রামে টান পড়ে যায়, এমনকি অসুস্থতাকেও এড়িয়ে চলেন, এ হলো ইতিবাচক অবসেসড
আবার Negative অবসেসড ও আছে, যা প্রতিনিয়ত অফিসে, বাজারে, বাসে, ট্রেনে বা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বেড়াতে যাবার ক্ষেত্রে, ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রে, পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে To socialize করার ক্ষেত্রে সর্বত্রই খুঁতখুঁতেপনা অনেক সময় আনন্দে বিষাদের অন্ধকার নেমে আসে (এখন মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা প্রায় ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে)
Perfectionism একটা বিশেষ গুণ, পারফেকশনিস্ট হওয়ার দৌড়ে অনেকেই এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে থাকেন, কিন্তু খুঁত ধরার ক্ষেত্রেও এরা কম যান না, খুঁতখুঁতে মন শুধু স্ট্রেসের হাতে বন্দী হতে সাহায্য করে শুধু নয়, many time মানসিক যন্ত্রণা থেকে ডিপ্রেশনের শিকার হতেও দেখা যায়
Many do not want to comply again, তারা মনে করেন, এটাই পারফেক্ট, অর্থাৎ সব কিছু আমার মনের মত হতে হবে বা আমি যেমন চাই তেমনই হতে হবে, পারিবারিক জীবনে এই পারফেকশন নিয়ে Unrest তারপর ডিভোর্স হওয়ার ঘটনা প্রচুর দেখা যায়
Because দুইজন দুই ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকেন ( এইজন্য বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে সমান্তরাল মানসিকতা তৈরি করার জন্য দুজনেরই ট্রেনিং নেওয়া দরকার ও মেডিটেশন অভ্যাস করা দরকার, হুটহাট বিয়ে করার মধ্যে দিয়ে), একজন খুঁতখুঁতে অন্যজন যেমন চলছে চলুক, ব্যাপারটা সাধারন, কিন্তু পার্সোনালিটির সংঘাত যখন শুরু হয় তখন মহাভারতের যুদ্ধকেও হার মানায়, খুঁতখুঁতে ভাব বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার এর কয়েকটি Simple examples এখানে দেওয়া হলো যা প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়
সব Work খুব নিখুঁতভাবে হতে হবে, বাসন মাজা হোক, ঘর পরিষ্কার করা হোক, বাচ্চা কে পড়ানো হোক, অফিসে ফাইল রাখা হোক, এমনকি গ্লাসে জল দেওয়াও কোথাও খুঁত থাকতে পারবে না, ঘরে কোন Ceremony হলে তো কথাই নেই, বাজার করা থেকে আপ্পায়ন সবটাই পারফেক্ট হতে হবে
আমরা For example নিজে কাজ করি অন্যরাও সেইভাবে করুক, না পারলে অনুপযুক্ত আখ্যা দিয়ে ঝগড়া বা অশান্তি সৃষ্টি করা
ছেলেমেয়েকে টপার হতে হবে, স্ত্রীর হাতে মায়ের বা অমুক বৌদির রান্নার স্বাদ পেতে হবে, প্রমোশনের দৌড়ে সবাইকে ল্যাং মারতে হবে, নিজের প্রচারটা ভালোভাবে হতে হবে, সবার উচিত প্রশংসা করা, (Me), না করলেই খারাপ ব্যবহার, চাপ বাড়ছে অথচ চাহিদা পূরণ হচ্ছে না, হতাশা ও অপরাধবোধ বারবার ঘুরে ঘুরে আসছে
A lot of work করেও কাউকে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না, কেউ মনের মতো নয় বা মনের মত সাপোর্ট দিচ্ছে না
কোন কাজেই Satisfaction নেই, এমনকি খাবার, পোষাক ইত্যাদি নিয়েও, সবটাতেই নিন্দা সমালোচনা
কাজ End করা বড় কথা নয় বড় কথা পারফেক্ট হলো কিনা
Fear of losing yourself, ফলে ভয় থেকে আসে নানা দোষ-ত্রুটি দেখার অভ্যাস, কাজটা এড়িয়ে যাবার মানসিকতা তৈরি হয়
হার জিতের middle বলে কিছুই নেই, সব সময় নেতিবাচক ভাবনা ও উত্তর দেবার অভ্যাস, এর থেকে শুরু হয় মানসিক চাপ
ছোট ছোট problem কে বড় করে দেখা যেমন, দুধ পুড়ে গেলে, বা বাচ্চা স্কুলে কম নম্বর পেলে,
No sleep at night, কারণ টিভিটা ঝিরঝির করছে, সিরিয়ালটা মিস করলাম, ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে কি পোস্ট করব? fb Profile not done, শাড়িটা কিসে লেগে একটু ছিড়ে গেছে, ফ্লিপকার্ট অ্যামাজনের অর্ডার দেওয়া ড্রেসটা মনের মত হল না, ওর মতো পারফিউম পাওয়া গেল না ইত্যাদি
Slander ভয়ে কাজ করা বা একই কাজ বারবার করা
এমন আরও বহু Problem আছে, এই সমস্যা থেকেই অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার নামক মানসিক রোগ দেখা দেয়, সেই জন্য সাবধান থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে ও কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে, Man পারেনা এমন কাজ নেই, খুঁতখুঁতেপনাকেও অভ্যাসের দ্বারা পরিবর্তন করা যায়
A few suggestions for that শেয়ার করা হচ্ছে, উপকৃত হওয়া যাবে, সাজেশন :-
(1) Mental problems প্রবল আকার ধারণ করার আগেই সাইকিয়াট্রিস্ট বা কাউন্সিলরের পরামর্শ নিতে কার্পণ্য করবেন না
(2) Balance করে চলার চেষ্টা করুন, ব্যালেন্স ইন লাইফ ব্লেসিং ইন লাইফ
(3) With people মন খুলে মিশুন, দলবেঁধে মর্নিং ওয়ার্ক করুন, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় যান মনকে রিফ্রেশ করে আসুন
(4) যোগাসন ব্রিদিং এক্সারসাইজ খুবই ভালো
(5) Work while working, অন্য সময় করা কাজগুলো নিয়ে ভাববেন না, অভ্যাসকরুন, মানিয়ে নিন, উইথড্রল সিস্টেম কে রপ্ত করুন
(6) রোজ morning এ বিকাল একান্তে বা মুক্ত বায়ুতে ধ্যান বা মেডিটেশন করুন, উপকৃত হবেন
(7) Extra responsibility না নিয়ে আয়ত্তের মধ্যে থাকুন, সোজাসুজি না বলার অভ্যাস পরিবর্তন করুন
(8) One day a week সবকিছু থেকে মুক্ত থাকুন, বাড়ির সবাইকে নিয়ে আনন্দ করুন
(9) Two systems বা চাবি সঙ্গে রাখুন (ক) সাক্ষী দ্রষ্টা (খ) ট্রাস্টিপন, দেখবেন খুঁতখুঁতে ভাব কমে গেছে
(10) Boys and girls দের সামনে আপনার খুঁতখুঁতে ভাব বারবার প্রকাশ পেলে তারাও এই রোগের শিকার হয়ে পড়বে, কারণ দেখতে দেখতে বা শুনতে শুনতে ওদেরও অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে
(11) It's your fault, গুণ, চাহিদা, প্রাপ্তি ইত্যাদি লিস্ট করুন, তারপর নিজেই নিজের কারেকশন করুন
(12) Think আপনার এই খুঁতখুঁতেপনার জন্য অন্যরা কষ্ট পাচ্ছে না তো বা অশান্তি হচ্ছে না তো ?? হলে নিজেকে বদলে ফেলুন
(13) পৃথিবীতে একই রকম মানুষ 11 জনের বেশি পাওয়া যায় না, প্রত্যেকেই তার তার মত করে অ্যাক্ট করে যাচ্ছে
সেই জন্য Hate বা অপদস্থ না করে চেষ্টা করুন মানিয়ে নিতে
(14) যতো Unrest আমার হচ্ছে তার জন্য আমি দায়ী, সেই জন্য শান্তির পথে চলার জন্য একটু রিলাক্স হওয়ার চেষ্টা করুন, অশান্তি রোগাক্রান্ত করে, শান্তি সুখ ও সমৃদ্ধি এনে দেয়
(15) খুঁতখুঁতে Disposition বংশগত সমস্যা বা ছোটবেলা থেকে যা শেখা হয়েছে তা অবচেতন মনে স্টোর হয়ে আছে, ফলে না চাইতেও খুঁতখুঁতে ভাব এসে যায়, এও এক প্রকার অভ্যাস, চেষ্টা করলে পরিবর্তন অবশ্যই করা যায়
(16) যা মনের মত হবে না, মেনে নিন মেনে নিতে নিতে ঠিক হয়ে যাবে, সিরিয়াসনেস ভালো তবে অতি ভালো নয়
Eventually, খুঁতখুঁতেপনা কোনও কঠিন মানসিক সমস্যা নয়, তবে সমস্যা সৃষ্টি করার চাবিকাঠি, সেইজন্য অ্যাটেনশন, চেকিং ও চেজ এই তিন মন্ত্র সঙ্গে রাখুন, সফল হবেনই
No comments:
Post a Comment