* Drug Addiction হচ্ছে বিশেষ অসুবিধা, যা কিনা আমাদের সমাজকে সর্বোতভাবে আক্রমণ করছে আষ্টেপৃষ্ঠে নাগপাশ এর মত, এই স্বাস্থ্য পরিপন্থী অবস্থার কারণ যথেচ্ছ- মদ, বিড়ি, সিগারেট বা ধূমপান, বর্তমানে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে- Injection এর , ট্যাবলেটের আকারে নেওয়া নেশা, যার কোনো গন্ধ পাওয়া যায়না, নেশায় যখন একটা মানুষকে ছিবড়া করে দেয়, তখন দেখা যায় আসে চিকিৎসার জন্য, চিকিৎসক বা কাউন্সিলরের কাছে, একদল তাজা Young boy ছেলে রয়েছে বর্তমানে মানসিক রোগীর সেলে, কারও বাড়ি শহরেই, কারো বাড়ি গভীর গিরি প্রান্তরে, কিন্তু সকলে নির্দিষ্ট এক রোগের শিকার, ড্রাগ অ্যাডিকশন এর শিকার
বিভিন্ন রকমের পর্যায়ে রয়েছে এই এডিকশনের যেমন :-
1) একিউট ইন্টক্সিকেশন বা তাৎক্ষণিক বিষক্রিয়া
2) উইথড্রল স্ট্রেস বা বিরতি কালীন জরুরি অবস্থা
3) সম্পূর্ণ নির্ভরতার অবস্থা
* একিউট ইনটক্সিকেশন বা তাৎক্ষণিক বিষক্রিয়া:- (আই. সি. ডি 10)
Aurobindo নামে ছেলেটি মাত্র 18 বছর বয়স, এখনো স্কুলে যায়, সঙ্গীদের সাথে ধীরে ধীরে সে আসক্ত হয়, মদ বা অ্যালকোহলে, ইন্দ্রিয় উত্তেজক নেশা গ্রহণে জ্ঞান, বুদ্ধি, বোঝার ক্ষমতা, ব্যবহার Change, উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা, সবকিছুই হ্রাস পেয়েছে, যদিও এই Change নির্ভর করে ড্রাগ নেওয়ার মাত্রার ওপর, এবং কি ড্রাগ নেওয়া হচ্ছে তার ওপর, এই ছেলেটি সারাক্ষণই থাকে মারমুখী, উগ্র, যা পায় সব যেন Blow up বা ছুড়ে উড়িয়ে দেয় ফেলে, শুধু ড্রাগের বা নেশার ছোবল তাকে দিতে পারে পরম শান্তি* উইথড্রল বা বিরতি কালীন জরুরি অবস্থা :-
Shahid নামের ছেলেটা নিত নিয়মিত ইঞ্জেকশন, হাতে কালো কালো দাগ, চোখ দুটি লাল, সমস্ত সৃষ্টি এবং কর্মক্ষমতার বাইরে, ড্রাগ আসক্ত অবস্থায় সে মোটর বাইক থেকে পড়ে যায়, ভর্তি হয় Hospital এ ভাঙ্গা Broken arm leg নিয়ে, চিকিৎসা চলার সময় তার ড্রাগস নেওয়া হয়নি, কিন্তু তার ব্রেইন যে আসক্ত নেশায়, তাই তাকে ফের ছোবল নেওয়ার জন্য বার বার তার শরীর নক করতে থাকে, শুরু হয় Sweating from all over the body, খিচুনি, দশ জন ও পারবে না ওকে আটকাতে বিছানায়, রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা ভীষণভাবে বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যায়, তাকে দড়ি দিয়ে বাঁধতে হয়, Quiet হওয়ার জন্য দিতে হয় ঘুমের ঔষধ, আর বৃদ্ধ মা, বাবা পাগল, দিশেহারা ছেলের অবস্থা দেখে, বৃদ্ধ মা, বাবার চিন্তা, চেতনার বাইরে সবকিছু, ছেলের মুখ থেকে বের হচ্ছে অশ্রাব্য obscenitiesঅর্থাৎ গালি গালাজ, সে তার বাবাকে ও চেনে না, বাবাকে বলে, এই বুড়া একটা বিড়ি দিবি ? নিজেকে খামচে একাকার, বৃদ্ধ বাবার কান্নায় চোখের জল* Complete dependency :- প্রীতম সম্পূর্ণ নির্ভর ড্রাগের উপর, এই ড্রাগ নেওয়ার পর বার বার ইচ্ছে হয় সেই ড্রাগের আনন্দ নেওয়ার, আরো বড় ডোজ, সে অন্য কোনো আনন্দ নিতে চায় না, সে oneself বা নিজে ও জানে ড্রাগ তার জীবন থেকে সব আনন্দ কেড়ে নিচ্ছে, নেশার সামগ্রী কেনার জন্য চুরি-ছিনতাই, নিজের দামি সব জিনিস খোয়াতে থাকে, কেড়ে নিয়েছে সাজ-পোষাক, ব্যক্তিত্ব, অর্থ, সম্মান ও future, সর্বোপরি সে নিজেকে একসময় গুলিয়ে ফেলে গার্লফ্রেন্ড আর নিজের বোনের মধ্যে
* Harmful use :- রবিন কলেজ ছাত্র, সে নেশাগ্রস্ত, সে আইনের আওতায় বিচারাধীন অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য
এই হল Totally চারটি ছেলের গল্প, যারা নেশার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে, এগুলোর মধ্যে কোনটা গ্রহণ করে লোকে আরামের জন্য যেমন মদ, সিগারেট, এমফেটামাইন ইত্যাদি
কোনটা use করা হয় মানসিক উত্তেজনার জন্য যেমন হেরোইন, গাঁজা, মরফিন, এল এস ডি, মেরি জোয়ানা ইত্যাদি
কোন কোন Drug নেওয়া হয় খাওয়ার মাধ্যমে, কোন টা নেওয়া হয় শ্বাস টেনে বা গন্ধ শুঁকে, আবার কোনোটা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়, নেশায় এরা কতটা বুদ থাকে- অনেকে ব্যবহার করে Single syringe, আর রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এইডস, হেপাটাইটিস এর মত ভয়ঙ্কর মারণ রোগ, এদের মধ্যে যৌন রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি
* পারিবারিক কারণ :-
To whom Family গত ইতিহাস রয়েছে যাদের নেশার, বিবাহ বিচ্ছেদের, শিশু নিগ্রহের, অস্বাভাবিক মৃত্যু, মা-বাবার নজরদারির অভাব, অভিভাবক যারা নিজেরাই মানসিক রোগের শিকার
* স্কুলের কারণ :-
Learn করতে, বলতে পারার অসুবিধা, হঠাৎ করে রেজাল্ট খারাপ হওয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকার শিশু বা কৈশোর মন বোঝার অক্ষমতা, বা সঠিক কাউন্সেলিং এর অভাব
* সামাজিক কারণ :-
Drug availability, নেশা যেখানে সমাজের সংস্কৃতির অংশ, দারিদ্রতা, এবং চটকদার বিজ্ঞাপন
# চিকিৎসা #
In this caseঅর্থাৎ এক্ষেত্রে যতনা বেশি কাজ করে ওষুধ তার চাইতে বেশি কাজ করে মানসিক থেরাপি বা কাউন্সেলিং বা মোটিভেশন,যেমন- একটা Group বানিয়ে মোটিভেট করা বা আলোচনা করা
- নেশার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান বৃদ্ধি করা
- সবচাইতে যেটা বেশি দরকার সেটা হলো পরিবারের, বন্ধুর সাপোর্ট বা পাশে থাকা, এক পূর্ণ হিস্ট্রি নিতে হবে ভিক্টিমের বা রোগীর, তারপর ব্যক্তি বিশেষ চিকিৎসা দরকার হয়, চিকিৎসা চলে Benzodiazepine গ্রুপের ড্রাগ দিয়ে, যাতে করে এ রোগের ড্রাগ নির্ভরতা কমে যায় ব্রেইন থেকে, সঙ্গে দিতে হয় ভিটামিন ঔষধ, কারণ এদের পুষ্টির যথেষ্ট অভাব থেকে যায়,
আসলে Addiction এর first প্রথম শিকার কিন্তু কৈশোর, যৌবন বয়স অর্থাৎ স্কুল যাওয়ার বয়স, তাই সুস্থ সমাজ গড়তে হলে সিলেবাসে জুড়তে হবে এইসব ড্রাগ সচেতন চাপটার, করতে হবে খোলামেলা আলোচনা শিক্ষক-শিক্ষিকা মা-বাবা adultsদের এবং ছোটদের মধ্যে এবং সঠিক কাউন্সিলিং কিন্তু অবশ্যই থাকতে হবে, আইন করে বন্ধ করতে হবে সেলিব্রিটিদের নেশা সামগ্রীর বিজ্ঞাপন দেওয়া, কারণ তাদের অসংখ্য ফ্রেন্ড ফলোয়ার থাকে যারা না বুঝেই Mentorকে নকল করে ডুবে যায় নেশায়, থাকতে হবে শক্ত আইনি ব্যবস্থা
*( ব্যবহৃত রোগীর নামগুলি কাল্পনিক )*
No comments:
Post a Comment