* অল্প বয়সীদের মধ্যে চোখের সমস্যা কি বাড়ছে ?
অল্পবয়স(Young age)বলতে একদম বাচ্চা থেকে বছর 25 পর্যন্ত বলা যেতে পারে, এই বয়সের বেশিরভাগ মানুষ চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রায় প্রতি ঘরে ঢুকে পড়েছে চশমা, এমনকি দেড়-দুই বছর বয়সেই শিশুদেরGlasses পড়তে হচ্ছে, আর সত্যি বলতে কম বয়সে এত সংখ্যক মানুষের চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারণ বলা বেশ কঠিন, তবে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি স্ক্রিনে, তাকিয়ে থাকার ফলে কিছুটা সমস্যা বেড়েছে
* কী কী সমস্যা হয় ?
অল্প বয়সে চোখে পাওয়ার আসে, রেটিনার সমস্যা, ট্যারা চোখ, চোখে আঘাত, ইনফেকশন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, পাশাপাশি জন্মগত ছানি, গ্লকুমার মতো সমস্যা ও এখন দেখা যায়
* চোখেরPower আসার বিষয়টা যদি একটু ভেঙ্গে বলেন ?
In that case ব্যক্তি খালি চোখে কাছের অথবা দূরের জিনিস, কিংবা কাছের এবং দূরের দুটোর কোনটাই দেখতে পান না তখন সেই ব্যক্তিকে পাওয়ার দেওয়া চশমা বা লেন্স ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, তবে এটা Absolutely সহজ ব্যাখ্যা, বিষয়টির একটু গভীরে বুঝতে চোখে দেখার প্রক্রিয়াটা সম্বন্ধে সামান্য জেনে নেওয়া দরকার
আরো পড়ুন:
* চোখের ব্যথায় চিকিৎসা, (Eye Pain Treatment)2019.
https://healthbasket99.blogspot.com/2019/08/eye-pain-treatment-2019.html
আসলে চোখের Cornea এর মধ্যে দিয়ে সমান্তরালভাবে আলো গিয়ে রেটিনার উপর পড়ে, রেটিনার সামনে থাকে কর্নিয়া ও লেন্স, আলো এই দুইয়ের মধ্যে থেকে সঠিকভাবে রেটিনার উপর পড়লে আমরা দেখতে পাই আর অপরদিকে আলো রেটিনায় সঠিকভাবে না পৌছালে, আমাদের দেখতে সমস্যা হয় এখানেই আসে পাওয়ার এর ভূমিকা, পাওয়ার যুক্ত কৃত্রিম লেন্স ব্যবহার করে আলোকে রেটিনার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিলেই সঠিক দৃষ্টি ফেরেচোখের Power Usually দুই রকমের হয় প্লাস পাওয়ার এবং মাইনাস পাওয়ার, মাইনাস পাওয়ার আক্রান্তের দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়,
প্লাস পাওয়ার থাকা ব্যক্তিদের কাছের এবং দূরের, দুই ধরনেরই দৃশ্য দেখতে সমস্যা হয়, এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ হলো অস্পষ্ট দেখা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্কুলে পড়া অবস্থাতেই এই সমস্যা দেখা দেয়, school ছাত্ররাBlackboard দেখতে পাচ্ছে না, বই একদম চোখের সামনে এনে পড়ছে, টিভির একেবারে সামনে বসে দেখছে ইত্যাদি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে
পাশাপাশি Headache ও থাকতে পারে, এক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রথম ধাপে রোগীর চোখের সঠিক পাওয়ার নির্ণয় করা জরুরি, তারপর পাওয়ার অনুযায়ী চশমা পরতে হবে, দরকারে বিভিন্ন চোখের বিভিন্ন ঔষধ ও দেওয়া হয়
* চশমা পড়লে কি পাওয়ার চলে যায় ?
নিয়মিত Glasses ব্যবহারে পাওয়ার যাক না যাক দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকবেই, তবে একদম প্রথম অবস্থা থেকে চশমা পড়লে বেশ কিছু ক্ষেত্রে চোখের প্লাস পাওয়ার নিজে থেকেই চলে যায়, কিন্তু মাইনাস পাওয়ার চশমা পড়লেও ঠিক হয় না
* After 18 years চোখের পাওয়ার বাড়ে না এই ধারণাটি কি ঠিক ?
আসলে 18 years old এরপর আমাদের শারীরিক ও চোখের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে চোখের পাওয়ার ও মোটামুটি একটি জায়গায় স্থির হয়, আবার বয়স কালে চোখের ছানি পড়লে পাওয়ার বাড়ার Fearআশঙ্খা থাকে, তাই কথাটি এক অর্থে ঠিকই, তবে কিছু ক্ষেত্রে এই বয়সের পরও পাওয়ার বাড়তে পারে
* চোখের Power এর সমস্যা সমাধানে সার্জারি কতটা নির্ভরযোগ্য ?
পাওয়ারের Surgery বলতে মূলত ল্যাসিক ও আইসিএল সার্জারির কথা বলা হয়, এক্ষেত্রে সার্জারির মাধ্যমে চোখের ভেতরে স্থায়ীভাবে লেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়, এগুলি একদমই সুরক্ষিত হয়, এগুলি একদমই সুরক্ষিত পদ্ধতি, তবে Usually চোখের বৃদ্ধি 18 বছরের নিচে পূর্ণ হয় না বলে, এই বয়সের নিচে এই সার্জারি করা হয় না
* চশমার বদলে লেন্সের ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত ?
Recent years বা হালআমলেরএমন ট্রেন্ড একদমই ভালো নয়, এর উপর বিভিন্ন রঙের লেন্সের প্রতি মানুষের ঝুঁক বাড়ায় অবস্থার আরো অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে
এমন প্রতিটি চোখের চিকিৎসকের কাছে কন্টাক্ট লেন্স থেকে ইনফেকশন হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই কন্টাক্ট লেন্স পরার আগে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, কন্টাক্ট লেন্স একান্তই পড়তে হলে দিনে আট ঘণ্টার বেশি নয়
* কালার ব্লাইন্ডনেস বিষয়টা কি ?
Basically guys(boys)এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়, অনেকেই ভাবেন, এই রোগে আক্রান্তরা কোন রং চিনতে পারেন না, এটা ভুল ধারণা, এমন ব্যক্তিরা অনায়াসে রং চিনে নিতে পারেন, তারা নির্দিষ্ট রংয়ের কনট্রাস্ট দেখে রং চেনেন
তাদের Together একাধিক রঙের মধ্যে পার্থক্য করতে সমস্যা হয়, এটি একটি জন্মগত অসুখ, আর এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই, এই অসুখের কারণে বহু কাজ করার সুযোগ থাকেনা, তাই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করা উচিত
* চোখ টেরা হয় কেন ?
অনেকেরই চোখের মনি বা আই বল সোজা থাকে না, এই সমস্যাকে ট্যারা চোখ বলা হয়, এক্ষেত্রে চোখের পেশি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে চোখ বাঁকা দেখায়, এই জটিলতা এক চোখ বা দুই চোখেই হতে পারে
It's innate, নির্দিষ্ট কোনো অসুখ থাকে, আঘাত লেগে হতে পারে, এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে
অনেক ক্ষেত্রে Only চোখের পাওয়ার থেকেই চোখ ট্যারা হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সঠিক পাওয়ার দিলেই চোখ ঠিক হয়, আবার দরকারে সার্জারি পর্যন্ত করা যেতে পারে
* Hit থেকে চোখে কি কি সমস্যা হতে পারে ?
অল্প বয়সীদের মধ্যে চোট-আঘাত থেকে চোখের সমস্যা হওয়ার ঘটনা অপেক্ষাকৃত বেশি, অনেক সময় একদম ছোট বাচ্চাদের ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় মায়ের পোশাকের হোক বাচ্চার চোখে লেগে যায়, একটু বড় বয়সে খেলতে গিয়ে, Pencil, বা কলম এর আঘাত ইত্যাদি কারণে চোখে আঘাত লাগে, এক্ষেত্রে আঘাতের বিভিন্ন ধরন থাকতে পারে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার আওতায় আসতে হবে
* চোখের ইনফেকশন কতটা সমস্যার ?
সাধারণত চোখের ইনফেকশন বলতে কনজাঙ্কটিভাইটিস, চলতি ভাষায় এই সমস্যাকে জয়- বাংলা বলে, এই সমস্যার সাধারণত তেমন কোনো গুরুতর জটিলতা তৈরি করে না, তবে চোখ লাল মানেই কনজাংটিভাইটিস নয়, কি কারণে চোখ লাল হয়েছে, এটা বোঝা কঠিন,
সে ক্ষেত্রে eyes এর যেকোনো সমস্যায় প্রথমেই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত
* Computerবা, মোবাইল ব্যবহারের সময় কি সর্তকতা নিতে হবে ?
মোবাইল ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করা দরকার, চোখে খুব বড় সমস্যা না থাকলে কম্পিউটারে কাজ করার সময় আলাদাভাবে কোন প্রটেক্টিভ গ্লাস পড়ার দরকার নেই, শুধু সময়ান্তরে ব্রেক নেবেন, পারলে চোখে Cold clear water দিয়ে ধুয়ে নিন, এছাড়া চোখের আদ্রতা ধরে রাখতে মাঝে মাঝে চোখ বার বার খোলা বন্ধ করতে হবে, এটাকে ব্লিঙকিং এক্সারসাইজ বলে,
* চোখের যত্নে কি করা উচিত ?
Firstly, জন্মের পর পরই প্রথমবারের জন্য চোখের পরীক্ষা করা দরকার, এরপর বছর বছর পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে,
Secondly:, শোয়ার ঘরের কোথাও একটি ক্যালেন্ডার টাঙ্গিয়ে রাখুন, প্রতিদিন সকালে উঠে সেই ক্যালেন্ডারের দিকে এক চোখ বন্ধ করে তাকানো দরকার, দু চোখের দৃষ্টির মধ্যে কোন পার্থক্য নজরে পড়লেই চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে
Thirdly, সকাল রাতে ঠান্ডা জলে চোখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন, এবং তার সাথে সাথে যদি সম্ভব হয় প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু টাটকা মৌসুমী ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন
( পান, বিড়ি, Cigarette, গুটকা, খৈনি, মদ, গাঞ্জা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে )
No comments:
Post a Comment