রক্তে উঁচুমান Cholesterol এর কারণ আছে, বেশিরভাগ কোলেস্টেরল তৈরী হয় শরীরের ভেতরে যকৃতে, আবার খাদ্য চর্বিসমৃদ্ধ হলেও ক্রমে ক্রমে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরল, কোন ধরনের চর্বি খেলে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, মাংস, দুধ, ঘি, Butter ও অন্যান্য প্রাণিজ খাদ্য, চর্বিবহুল গোস্থ থেকে আসে সেচুরেটেড ফেট, কোন কোন উদ্ভিজ তেলে যেমন নারিকেল তেল ও পাম তেল, কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের কুসুম, কলিজা খেলে রক্তে বেশি পরিমাণ কোলেস্টরেল বাড়ে, তাই সবারই চর্বি ও কোলেস্টেরল কম খাওয়া উচিত, যেমন চর্বিবহুল গোস্থ কলিজা মগজ ডিমের কুসুম চিংড়ি ননীসহ দুধ মাখন ডালডা ইত্যাদি কম খাওয়া উচিত দিনে 300 মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করা ঠিক নয়
**আরো পড়ুন:
মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার উপায় Free Tips 2019.
Saturated fat কিসে বেশি:- পনিরে আছে খুব বেশি সেচুরেটেড ফেট একটি ছোট টুকরো শক্ত হলুদ পনিরে আছে 30 গ্রাম চর্বি, লো ফ্যাটহীন পনির খেতে পারেন তবে পনির না খেলে কি হয়? উঁচুমান Cholesterol পুরুষের সমস্যা এমন প্রচলিত ধারণা, 50 বছর হবার আগ পর্যন্ত পুরুষের উঁচুমান কোলেস্টেরল সমস্যা নারীর চেয়ে বেশি, তবে নারীদের ঋতু বন্ধ হবার পর হরমোন ইস্ট্রোজেন কমে যাবার পর(womens) নারীদের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল মান বাড়তে থাকে, পঞ্চাশোর্ধ নারীর কোলেস্টেরল মান সাধারণত পুরুষের তুলনায় বেশি থাকে, উঁচুমান কোলেস্টেরল হলে তেমন লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি কিনা তা জানার জন্য blood পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, প্রশ্ন হতে পারে কত বছর বয়স থেকে রক্তে কোলেস্টরেল মাপা শুরু করা উচিত, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে বয়স 20 হবার পর থেকে প্রতি 5 years পর পর একবার রক্তের কোলেস্টেরল মাপা উচিত শরীরের জন্য কোলেস্টেরল বেশি প্রয়োজন, মোম সদৃশ্য চর্বির এই কোলেস্টেরল দেহেই তৈরি হয়, খাদ্যে কোলেস্টেরল যোগ করার প্রয়োজন হয় না, সব cholesterol রক্তে কম হলেই ভালো তা নয়, রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরল বেশি হলে ভালো, এটি হলো হৃদহিতকারি কোলেস্টরেল, এইচ ডি এল কোলেস্টেরল প্রতি ডেসিলিটার রক্তে 60 মিলিগ্রাম এইচডিএল বা এর বেশি হলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়, এল ডি এল কোলেস্টেরল কে বলে মন্দ কোলেস্টেরল কারণ রক্তে বেশি এল ডি এল থাকলে পরিণতিতে হতে পারে অ্যাথারুক্লোরোসিস, খুব বেশি L D L blood এ থাকলে পরিণতিতে তা থেকে হতে পারে হূদরোগ, এল ডি এল মান 130 মিলিগ্রাম ডি এ এর বেশি হলে বলব উঁচুমান এল ডি এল, খুব বেশি LDL মান blood এ বেশ কিছুদিন থাকলে পরে ধমনীর দেয়াল পুরু হয়ে শক্ত জমাট বাঁধে যাকে বলে প্লাক, ধমনী পথ সংকীর্ণ হতে থাকে দেয়াল শক্ত হতে থাকে তাই ক্রমে ক্রমে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ (Flow) ক্ষীণ হতে থাকে একে বলে অ্যাথারুক্লোরোসিস যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের বড় কারণ,
রক্তের LDL কমাতে খাদ্য বিধির অবদান রয়েছে, ওটমিল তেমন একটি খাদ্য দ্রবণীয় আঁশ খেলে কমে রক্তের কোলেস্টেরল ওটমিল হল দ্রবণীয় আঁশ এর শ্রেষ্ঠ উত্তম, বিনশ ও অনেক ফলে ও আছে দ্রবণীয় আঁশ, আছে সবজিতেও, দিনে এক বাটি ওটমিল একটি কলা খেলে পাওয়া যাবে 10 গ্রাম আঁশ যাতে কমায় এল ডি এল 5 শতাংশ,
cholesterol কোন খাবারে বেশি:- 6 টি চকলেট ক্রিম পাই দু টুকরো পনির মাখন এর বড় চাকলা নাকি দুটো বড় ডিম? ডিমে (eggs)আছে প্রচুর কোলেস্টেরল দুটি ডিমে প্রতিটিতে প্রায় 200 গ্রাম কোলেস্টেরল ডিমের সাদা অংশ বা কুসুম ছাড়া ডিম ভালো বিকল্প হতে পারে রক্তের উঁচুমান কোলেস্টেরল সব রকম চর্বি বাদ দেব, তা তো ঠিক নয়, খাদ্যে কিছুটা চর্বি থাকা চাই, চর্বি থেকে এনার্জি আবশ্যকীয় মেদ অম্ল পাই, খাদ্য থেকে পুষ্টি উপকরণ দেহে শোষিত হতে সাহায্য করে, ভিটামিন A, D, E, K শোষণের জন্য প্রয়োজন চর্বি, কৌশল হল শ্রেষ্ঠ চর্বি গ্রহণ করা যা হিত কর, প্রাণিজ চর্বি বদলে উদ্ভিজ্জ চর্বি ক্ষেত্র বিশেষে এতে কলেস্টেরলও মাল হ্রাস করা সহজ নয়, ট্রান্সফ্যাট খাওয়া ছাড়তে হবে,
Saturated fat মাত্র 10 শতাংশ মোট ক্যালরির 10%, মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে গেলে চাই ব্যায়াম, ব্যায়াম বা অন্য নিয়মিত শরীরচর্চা কমায় মন্দ কোলেস্টেরল এলডিএল এবং বাড়ায় ভালো cholesterol বা এইচ ডি এল, পূর্ণ বয়স্কদের জন্য চাই 30 মিনিট মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা সপ্তাহে প্রায় দিন, তবে যেকোনো নিয়মিত শরীরচর্চা কমায় উঁচুমান কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি ও হৃদরোগের ঝুঁকি, মোট কোলেস্টেরল মান 200 মিলিগ্রামের কম হলো ভালো, 200 থেকে 239 মিলিগ্রাম/ ডি এল হল সীমা ছুঁইছুঁই, 240 মিলি গ্রাম বা এর বেশি হলে উচ্চমান, এলডিএল মন্দ কোলেস্টেরল 100 গ্রাম মিলিগ্রাম এর নিচে হলে ভালো, এইচডিএল ভালো কোলেস্টেরল 40 মিলিগ্রাম এর নিচে হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, মহিলাদের ক্ষেত্রে এইচ ডি এল মান 50 মিলিগ্রাম এর নিচে হলে ঝুঁকি, কোলেস্টেরল মান কমানোর জন্য শ্রেষ্ঠ ওষুধ হল স্টেটিনস, এই ওষুধ সেবনে এল ডি এল মান কমতে পারে 20-25 শতাংশ, স্টেটিন যকৃতের কোলেস্টেরল তৈরী রোধ করে তাই কোলেস্টেরল তৈরী হয় কম, এছাড়া রক্তের HDL বাড়াতেও সাহায্য করে স্টেটিন ঔষধ, রক্তের উঁচুমান কোলেস্টেরল হলেই ওষুধ খেতে হবে তা নয়, খাদ্যবিধি ব্যায়াম শরীরের ওজন কমানো বেশ কাজ দিতে পারে, ডাক্তার পরামর্শ দিবেন হৃদরোগের ঝুঁকি ব্যক্তিবিশেষ কিরকম সেই বিবেচনায় পরামর্শ দেন ডাক্তার, প্রধান লক্ষ্য হলো সেচুরেটেড ফ্যাট কম খাওয়া, কম কোলেস্টেরল গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম
*****
আরো পড়ুন:*
No comments:
Post a Comment