*Cholesterol বেড়ে যাওয়া (এখানে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল কে বলা হচ্ছে) শরীরের জন্য আদৌ ভালো নয়, তবে সামগ্রিকভাবে সুস্থ শারীরিক কার্যকলাপ বজায় রাখতে গেলে শরীরের কিছু পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকা প্রয়োজন, সম্প্রতি American College of Cardiology (এ সি সি) ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এ এইচ এ) এই কোলেস্টেরলের কতটা বাড়া নিরাপদ ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে বেশ কিছু গাইড লাইন দিয়েছে,
এর আগে এইচ ডি এল, এল ডি এল সহ টোটাল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লীসারাইডের মাত্রা মাপা হত এবং কোন লেভেল কতটা হাই সেটা দেখে চিকিৎসকরা অ্যাটুরভ্যাস্টিন গ্রুপের ওষুধ দিতেন, নতুন দেওয়া Guidelines এ কোলেস্টেরল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, এমনকি স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেই বিষয়ের উপরও আলোকপাত করা হয়েছে,
সেখানে বলা হয়েছে আপনার হার্ট কতটা দুর্বল বা কি কি হার্টের রোগ আছে তার ওপরেই নির্ভর করে আপনার কোলেস্টেরল লেভেল কতটা থাকা স্বাভাবিক, আর বলাই বাহুল্য এটা একেকজনের একেক রকম হয়, নতুন Guidelines এ বলা হয়েছে আপনার রক্তে এলডিএলের লেভেল যদি 189 মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার বা তার বেশি থাকে এবং তার জন্য চিকিৎসক ওষুধ দিচ্ছেন, তাহলে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে,
* কোলেস্টেরল ব্যাপারটা আদতে কি ?
কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের লিপিড, মোমের মত, মোটা বস্তুসদৃশ্য যা লিভার থেকে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়, কোষের আবরণীকে সুরক্ষা দিতে, বেশ কিছু হরমোন নিঃসরণ এর জন্য ও ভিটামিন ডি সংশ্লেষ এ Cholesterol এর একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে, এটা জলে দ্রবীভূত হয় না, ফলে রক্তপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে কোলেস্টেরল নিজে নিজে চলতে পারে না,
'Cholesterol' Liver থেকে বেরুনোর পর তাকে শরীরে প্রবাহিত করার জন্য লিভার নিষ্কাশন করে লাইপোপ্রোটিন, এটি প্রোটিন ও ফ্যাট এর সমন্বয়ে তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডকে সঞ্চালিত করে, দুটি উল্লেখ লাইপোপ্রোটিন এলডিএল ও এইচডিএল,
শরীরে Extra এলডিএল থাকলে বলা হয় কোলেস্টেরল বেড়েছে চিকিৎসা না করালে এর থেকে হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে,
* এলডিএল ও এইচডিএল সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা :-
এল ডি এল কে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল, এটি ধমনীর মধ্য দিয়ে কোলেস্টেরল প্রবাহ হতে সাহায্য করে, কিন্তু কোনো কারণে এলডিএল বেড়ে গেলে ধমনীতে প্ল্যাক জমে রক্ত চলাচলে পথ Slender হয়েই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়, এর ফলে ধমনীতে ক্রমশ রক্ত জমাট বাঁধে, হার্টের উপর চাপ পড়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে,
হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এইচ ডি এল কে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল, এটি এলডিএল কোলেস্টেরল কে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে, ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে ধমনীতে প্লাক হওয়াকে Mostly আটকানো যায়, স্বাভাবিক এইচ ডি এল থাকলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা, হার্টের রোগ, বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমে
* নিয়মিত কোলেস্টেরল লেভেল পরীক্ষা করানো দরকার
In the west বা পাশ্চাত্য দেশে এখন বয়স কুড়ি বা তার বেশি হলেই তার কোলেস্টেরল লেভেল পরীক্ষা করা হচ্ছে, বছরে একবার তো করানোই উচিত, আর আপনার যদি কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখ এর পারিবারিক History থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ব্যবধানে টোটাল কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে হবে, টোটাল কোলেস্টেরল বলতে বোঝায় রক্তে সামগ্রিকভাবে এলডিএল ও এইচ ডি এল এর মাত্রা, তার সঙ্গে ট্রাইগ্লিসারাইড দেখে নেওয়া হয়
* কোলেস্টেরল বাড়লে কি করতে হবে ??
Diet থেকে যথাসম্ভব সেচুরেটেড আর ট্রান্সফ্যাট কে বাদ দিতে হবে যা এলডিএল চট করে বাড়িয়ে দেয়, তার বদলে স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার খান, মাখনের বদলে রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন, লিনমিট, রেডমিট, খাওয়া কমান, বাদাম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা অন্যান্য পেটিস, পেস্ট্রি বা জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন
* কোন কোন Risk factor এর এলডিএল বাড়ে ??
বেশ কয়েকটি physiological ও জীবন যাপন পদ্ধতির ফলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ে, ওবেসিটি থাকলে, অস্বাস্থ্যকর ভাজাভুজি প্রচুর পরিমাণে দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে গেলে, ধূমপান বা তামাকজাত সেবনের অভ্যাস থাকলে, গুটকা, সুপারি খেলে, The family has a history of high cholesterol, আগে থেকেই ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা হাইপোথাইরয়েড থাকলে
* কি কি সমস্যা হতে পারে ??
দীর্ঘদিন কোলেস্টেরল বাড়ার সমস্যাকে চিকিৎসা না করালে ধমনীতে প্লাক জমে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হতে পারে, এর ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বেধে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে, সঙ্গে অ্যানাইজইনা (বুকে ব্যাথা), হাইপার টেনশন, Peripheral ভাস্কুলার ডিজিজ নামে একটি জটিল রোগ, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ চট করে ধরে যায়
*** হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা -
Homeopathy তে মায়াজম, লক্ষণ ও কারণ মিলিয়ে চিকিৎসা করলে উপকার পাওয়া যায়, যে সমস্ত ওষুধ গুলি ব্যবহার করে সুফল সহজেই পাওয়া যেতে পারে সেগুলি হল- নাট্যাম সালফ, চেলিডোনিয়াম, ফেলটাওরি বল্ডু, টিলিয়া,গ্লাইসুরিস গ্লেবরা, ক্যারিকা, পাপাইয়া, কোলেস্টেরিয়াম, প্রভৃতি
তবে কখনোই Doctor এর পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়, কারণ চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধের শক্তি নির্বাচন করে থাকেন, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
No comments:
Post a Comment