* ত্বক মনের আয়না :- কথাটি আমরা সকলেই জানি, তাই রোগহীন উজ্জ্বল ফর্সা চকচকে ত্বক সকলেরই পছন্দের বিষয় কিন্তু কিছু কিছু রোগ ওষুধের কুপ্রভাব দূষিত পরিবেশ বিপরীত খাদ্যাভাস, ত্বকের সৌন্দর্য কে নষ্ট করে ফলে ত্বকে দেখা যায় নানান সমস্যা ব্রণ, ছুলি বা সাদা ছোপ ছোপ দাগ, ত্বকের কালিমা বা হাইপার পিগমেন্টেশন বা সূর্য রশ্মির প্রভাবে চামড়া জ্বলে যাওয়া অল্প বয়সে ত্বক কুচকে যাওয়া চোখের কালি বা ডার্ক সার্কেল ঘামাচি ইম্পেটিগো প্রভৃতি কিছু কিছু শারীরিক রোগ থেকেও যেমন থাইরয়েডের সমস্যা চর্মের সমস্যা হতে পারে আর সেটা একজন দক্ষ চিকিৎসকই আপনাকে বলতে পারেন প্রথমে আমরা আলোচনা করব কালো দাগ নিয়ে, একে বলা হয় মেছতা মহিলাদেরই মূলত হয় মূলত: হরমোনের সমস্যার জন্য এটি হয় বলে ধরা হয়, এদের মুখে গালে নাকে প্রভৃতি স্থানে এক ধরনের কালচে বাদামী রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় চুলকায় না, গর্ভবতী মা ও বোনেরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন এর চিকিৎসা আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে খুব সহজ,
*দ্বিতীয়তঃSecondly:- রোদ্রে বেরুলে ভালো সানস্ক্রিন লাগাতে হবে এবং সঙ্গে ঘৃতকুমারী,কলম্বী, গ্রীস্মসুন্দরক ও নিমপাতার কক্ল বানিয়ে লাগালে কিছুদিনের মধ্যে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে এরকম আরেকটি সমস্যা হল লাইকেন প্লানাস এটি খুব Familiar পরিচিত ( Disease) রোগ, চুলকায় কখনো কখনো আবার চুলকায় না এতে ত্বকে গোটা বা ছুপের্ মতন হয় সূর্যের রস্মির সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এলোপ্যাথি চিকিৎসায় স্টেরয়েড Steroids দেওয়া হয়, আমরা এখানে মঞ্জিষ্ঠা, বেতো শাকের রস, সোহাগা, কদলি, ও পদ্ম গুলঞ্চ এর কল্ক ব্যবহার করি, অল্প দিনেই এটি সেরে যায়
এর পর আসি ত্বকের সাদা দাগ এর কথায় এক্ষেত্রে প্রথমে যে রোগটির কথা মনে পরে সেটি হল শ্বেতী, যে কোন কারনে শরীরের মেলানোসাইট কোষ গুলি যদি ধ্বংস হয়ে যায় তখন ওরা আর (body)শরীরের বর্ন তৈরি করতে পারে না, ফলে ওই বিশেষ অঞ্চলটি সাদা হয়ে যায়, শ্বেতী রোগ যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে সেখানে পঞ্চকর্ম চিকিৎসা করা হয় কিছু ক্ষেত্রে জলৌকা ট্রিটমেন্ট Treatment চিকিৎসা রোগটিকে সরিয়ে দেয়, কিন্তু যদি সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় তখন তাকে আর কিছু করা যায় না
ত্বকে কখনো কখনো অসংখ্য সাদা সাদা বিন্দুর মতন দাগ হয় যাকে বলে পিটিরিয়াসিস ভার্সিকলার, চলতি কথায় ছুলি এটি ছত্রাক জনিত কারনে হয়, সোমরাজী তেল এবং মহাতিক্থ ঘি, ব্যবহার করলে এই Disease রোগটি খুব সহজেই ঠিক হয়ে যায়, কখনো কখনো দেহের বিভিন্ন রকমের কত এবং ক্ষত শুকিয়ে দাগ তৈরি যা সহজে সারে না, এমনকি ভালো ভালো ক্রিম ব্যবহার করেও এদের সারানো যায় না কসমেটিক cosmatic সার্জারি সেখানে একমাত্র বিকল্প থাকে, সার্জারির পূর্বে জলৌকা চিকিৎসা করা হয়, এটি একটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে না দেখলে ক্ষতের অস্তিত্ব বুঝা যায় না তবে অবাঞ্ছিত দাগ ইত্যাদি অল্প দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক করা যাবে,
অল্প বয়সী Young এবং মাঝবয়সীদের একটি অপরিচিত সমস্যা হল ব্রোন অনেকের অনেক রকমের হতে পারে সাধারণত হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণে ব্রণ হয় আর তার ওপর রয়েছে নখের আচরে ক্ষত প্রথমে আমাদের জানতেহবে যে এটি একটি বয়সন্ধি রোগ কমবেশি অনেকেই ভুগেন এজন্য প্রয়োজন শরীরের থেকে টক্সিন বার করে দেওয়া পঞ্চকর্ম দ্বারা শরীরের টক্সিন গুলিকে বার করে দিলেও কিছু ভেষজ প্যাক ব্যবহার করলে ব্রণ bron সেরে যায় এবং গালের সৌন্দর্য হানি ঘটে না অপর একটি রোগ হল একজিমা এটি উল্লেখ না করলে রোগটি কে অবহেলা করা হবে এটি হলো পুরনো চর্মরোগ শরীরের বিভিন্ন স্থানে(Place)এটি দেখা যায় আক্রান্ত স্থানটি চুলকায় কালো হয়ে যায় জলিয় ক্ষরণ হয় কখনো কখনো চামড়া ফেটে যায় ও ফুলে উঠে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, গরমের দিনে এর Trouble কষ্ট বেড়ে যায় বেশি চুলকালে কেটে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে এক্ষেত্রে না উল্লেখ করে পারা যায় না যে কৃষ্ণের দীর্ঘকালীন অবহেলিত হয় কখনো কখনো একজিমা তে ও পরিণত হয় তবে Patients রোগীদের জানতে হবে যে একজিমা চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, একটু ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করলে একজিমা ভালো থাকে, আর একটি রোগ হল সোরিয়াসিস এটি অটোইমিউসজ রোগ, এতে চামড়ার স্তর গুলি ধীরে ধীরে খসে পড়ে যায় পঞ্চকর্ম চিকিৎসায় রোগ যতই পুরনো হোক না কেন সেরে যায় শিশুদের চর্ম রোগের ক্ষেত্রেও আয়ুর্বেদ চিকিৎসার সাফল্য সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত সেটা ইম পেটাই গুই হোক কিংবা বা Infection ছত্রাকের সংক্রমণ হোক বা ন্যাপকিন একটি ভালো আয়ুর্বেদিক প্রেসক্রিপশন আপনাকে ছোট্ট সোনাটিকে দেবে নিশ্চিত আরোগ্যের সন্ধান,
*** তাই আর কেন বয়ে বেড়াবে পুরনো চর্মরোগ কে ??? আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নিন ও ভালো থাকুন
Posts
No comments:
Post a Comment