*দৈনিন্দিন জীবনে ( In everyday life) মানসিক দুশ্চিন্তা স্ট্রেস ডিপ্রেশন টেনশন ইত্যাদি মানুষের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এগুলি যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এই দুশ্চিন্তা থেকে দুরে থাকতে হলে এবং আমাদের শরীর(body) কে সুস্থ ও নীরোগ (cure) রাখতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আমাদের হার্ট টিকে সুস্থ রাখা, গুরুতর মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন শারীরিক (Physical) সমস্যা যেমন হাই ব্লাড প্রেসার, হার্টের সমস্যা, হজমের সমস্যা, কিডনি সমস্যা, আত্মহত্যা-প্রবণতা ইত্যাদি তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরি, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার জন্য বিজ্ঞানীরা যে বিশেষ কয়েকটি উপায়ের কথা বলেছেন সেগুলি হল - ভোরবেলা নিয়মিত দৌড় বা হালকা দৌড়া, ব্যায়াম করা(মার্শাল আর্ট বা yuga), সঠিক ঘুম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, নিজেকে স্থির ও শিথিল রাখা শেখা, অবসর সময়ে ডায়েরি লেখা, যোগ ব্যায়াম ও ধ্যান করা, পছন্দের কাজগুলো করা, নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলা, বন্ধুদের সাথে কথা বলা, মেডিটেশন করা, প্রাণ খুলে হাসা, নেশা থেকে দূরে থাকা, ভ্রমণ করা ইত্যাদি, তাই আমাদের (body)শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে মানসিক চাপ মোকাবেলা করা খুবই জরুরি,
মানসিক চাপ কমাবার জন্য শারীরিক ব্যায়াম অন্যতম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে উদাহরণস্বরূপ সাধারণ মানুষ অপেক্ষা শ্রমিকরা মানসিক দুশ্চিন্তায় কম ভোগেন, এখানে মানসিক দুশ্চিন্তা ডিপ্রেশন বা টেনশন থেকে দূরে থাকার জন্য বিশেষ(Special) কয়েকটি উপায় এর উল্লেখ করা হলো - যেগুলো আপনাকে সত্যিই শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে দূরে রাখবে,
** মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম সেরা উপায় দৌড়ানো সাধারণ পেশীগুলোর সঠিক সঞ্চালনের জন্য নিয়মিত দৌড়ানোর বিকল্প নেই, দৌড় হলো মানসিক চাপ কমাবার অন্যতম মহা ঔষধ নিয়মিত দৌড়ানো আপনাকে অতিরিক্ত কাজের সময় খিটখিটে মেজাজ থেকে দূরে রাখবে, আপনার কাছে এটা নিছক মেডিটেশন করার মতো শোনালেও এটা সত্যিই কার্যকর, মানসিক চাপ দূর করে নিজের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে নিয়মিত দৌড়ানোর বিকল্প নেই,
** মৌলিক (Basic) আত্মরক্ষা কৌশল বা মার্শাল আর্ট আপনি যদি ক্যারাটে জুডো বা মার্শাল আর্ট এর মতো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে বলা বাহুল্য যে বিশেষজ্ঞদের মতে মার্শাল আর্ট শারীরিক শক্তি (strength) বৃদ্ধি সহ মানসিক হতাশা দূর করতে সক্ষম যেটা আপনাকে সারাদিন চনমনে মেজাজে রাখবে এবং করে তুলবে আত্নপ্রত্যয়ী,
** নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত ঘুম শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে তাই অধিক রাত্র জেগে না থেকে সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন
**অফিসে আড়মোড়া ভেঙ্গে ক্লান্ত পেশীগুলোকে আরাম দিন কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিয়ে মনটাকে শিথিল করুন বিশেষজ্ঞরা বলেন যে আপনার অফিসের অতিরিক্ত কাজ আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা কে বাড়ানোর ফলে আপনার বস(Boss) আপনার কাছে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আপনি আপনার সহকর্মীদের বন্ধুরূপী শত্রু ভেবে ফেলেছেন অর্থাৎ একনাগাড়ে কাজ করার ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনাকে হতাশাগ্রস্থ করে ফেলেছে, কিন্তু তার মানে এটানয় যে এখান থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই, কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা বিরতি নিন চেয়ারে বসে আড়মোড়া কাটুন মাথার পেছনে হাত রেখে পা সোজা করে কাঁধের পেশি গুলোর উপর চাপ প্রয়োগ (Apply) করুন এতে কাঁধের পেশি গুলোতে আরাম অনুভূত হবে এভাবে মাথা হাঁটুর কাছে নিয়ে এবার পিঠের পেশিগুলোকে সক্রিয় করুন দেখবেন মুহূর্তেই আপনার বিরক্তি ভাব দূর হয়ে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করছেন দীর্ঘসময়(Long time) বসে থাকলে কাঁধের ও পিঠের পেশী গুলো অসাড় হয়ে যায় ফলে আপনার বিরক্তি ভাব চলে আসে এ দুটো ব্যায়াম আপনাকে ফ্রেশনেস ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট সাহায্য করবে,
মানসিক চাপ(mental pressure) কমাতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মানসিক দুশ্চিন্তা থাকলে খাবার প্রতি অনেকেরই অনীহা হতে পারে মনে রাখবেন এটি আপনি একটি মারাত্মক ভুল করছেন না খেয়ে থাকলে (mental pressure) মানসিক চাপ কমার বদলে আরো অত্যধিক বেড়ে যাবে এবং শরীর ও মন দুটোর ওপরে চাপ বাড়বে এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খান
** মানসিক চাপ (mental pressure) ও দুশ্চিন্তা এড়াতে ভ্রমণ হতে পারে একটি কার্যকারী উপায় আর এটা সবচেয়ে ভালো কাজ করে গাছগাছালি পূর্ণ কোন জায়গায় গেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, পাইন, সিডার আর ouk সহ কিছু গাছে 'ফাইটনসাইড' নামক একটি উপাদান থাকে যা মানুষের উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং মানসিক চাপ দূর করে
**আত্নবিশ্বাস (Confidence) বাড়াতে টিম স্পোর্টস অন্যদের সঙ্গে অনুশীলন বিশেষ করে দলগত অনুশীলন পারস্পরিক আস্থা ও ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনে যথেষ্ট ফলপ্রসু, নানা ধরনের মানসিক চাপ কমাতে নিজেকে সামাজিকরণ এক অন্যতম উপায়,তাই এখনই দলগত কোন খেলা বা সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত করুন, বাস্কেটবল, ফুটবল, ভলিবল খেলা সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে যেকোনো সামাজিক কাজের মাধ্যমে এটা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও নিজেকে নতুন করে জানতে সাহায্য করবে,
**(Mental anxiety) মানসিক দুশ্চিন্তা কে এড়িয়ে যাবার আরেকটি উপায় হল সমস্ত রকমের নেশা ও নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখা
**শরীর(body) ও মনের অতি উপকারী যোগব্যায়াম বা যোগা বা ধ্যান এটা কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না, যোগ ব্যায়াম সত্যিকার অর্থেই দেহ এবং মনের জন্য যথেষ্ট উপকারী, এটা শুধু আপনার শরীরকেই ঠিক রাখবে না সেই সঙ্গে আপনার ক্লান্ত পেশিগুলো তে জোগাবে প্রশান্তির অনুভূতি, যোগ ব্যায়াম শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীর ও মনের যোগসুত্র স্থাপন করে থাকে এবং মানসিক স্ট্রেস ও টেনশন কে রাখে অনেক দূরে তাই ভোর বেলা নিয়মিত যোগ ব্যায়াম বা ধ্যান করুন এবং দূর করুন আপনার অহেতুক উদ্বেগ ও হতাশা গুলো
** হাসি রাখবে আপনার হৃদযন্ত্র কে সুস্থ ও সবল যার ফলে ব্লাড প্রেসার ও কিছুটা কম থাকবে তাই নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। হাসি-ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর(canal) কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।
**গবেষণায় (In the study) দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন। হতাশা, ক্ষোভ, ব্যর্থতা, অবসাদ আর নানা ধরণের নেতিবাচক বিষয়গুলো আমাদের সহজেই ঘিরে ধরে। আর এসবকে দূরে রাখতে, জীবনকে সুন্দর রাখতে প্রয়োজন মেডিটেশন। তাই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে এবং মানসিক দুশ্চিন্তা কে দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম
**(At leisure) অবসর সময়ে ডায়েরি লিখুন, ডায়েরি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ কমাতে আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে
**একাকী ঘরে বসে না থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। প্রকৃত বন্ধুকে মনের ক্ষোভ ইচ্ছা-অনিচ্ছা দুঃখ কষ্ট সব কিছু খুলে বলুন দেখবেন নিজেকে হালকা অনুভব করবেন,
**(Mental anxiety) মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে আমাদের শরীর ও মনের উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয় তাই এই সময় দেহ ও মনকে শিথিল রাখা জরুরি। এসময় নিজেকে শান্ত রাখা জরুরি। মনকে শিথিল রাখতে রোমান্টিক Romantic গান শুনুন।শরীরকে শিথিল রাখতে পার্লারে গিয়ে মানসিক চাপ কমাতে পারে এ রকম স্পা ম্যাসেজ করান।
**(mental pressure) মানসিক চাপের সময় আপনি ছোট বেলা যে কাজ গুলো পছন্দ করতেন যেমন ছবি আঁকা, কোন গেম খেলা, টিভিতে কোন কমেডি শো দেখা, ম্যাগাজিন পড়া ইত্যাদি আপনার পছন্দের কাজগুলো আবার শুরু(Start)করুন এবং কাজগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সময় দিন ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন
## বর্তমান যুগে মানসিক চাপে থাকেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না তাই উপরের পদক্ষেপগুলোর চর্চা মানসিক চাপ দূর করতে অনেকটাই আপনাকে সাহায্য করবে। সর্বশেষে বলা যায় ভবিষ্যতের কথা না ভেবে শুধু এখনকার অনুভূতিগুলির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷ কঠিন পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে অথবা স্ট্রেস কমাতে দৈনন্দিন জীবনের গড্ডলিকা প্রবাহ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে৷
No comments:
Post a Comment