*গ্রীষ্মপ্রধান দেশে (Summer country) তে বেশি দেখা যায় হুকওয়ার্ম, এটি আদতে এক প্রকারের কৃমি, দেখতে চাই রঙের হয়, লম্বায় প্রায় 1 সেন্টিমিটার এর মত, হুক ওয়ার্ম মূলত দুই প্রকারের হয়, অ্যাংকিলুস্টমা ডিউওডিনালি ও নুকেটার অ্যামেরিকানাম, হুকওয়ার্ম থাকে মানব শরীরের ক্ষুদ্রান্তে, বিশেষ করে জেজুনাম এর উপরের অংশে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ও মল ত্যাগ করলে মানব শরীরে প্রবেশ করে হুক ওয়ার্ম, মানুষের শরীর থেকে Hook Worm এর ডিম বের হয় গরম মলের সঙ্গে, স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়, এই লার্ভা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফিলেরিফর্ম লার্ভায় পরিণত হয় ও বিপদ তৈরি করে, মানবত্বক (Human skin) ভেদকরে শরীরে প্রবেশ করে ও রক্ত বাহিত হয়ে ফুসফুসে যায়, তারপরেই ফুসফুসের আবরণ ভেদ করে ক্রোম শাখা ও শ্বাসনালী হয়ে পাকস্থলীতে যায়, সেখান থেকে ক্ষুদ্রান্তে তাদের(The real residence) আসলবাসস্থান, লার্ভা যখন ত্বক ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করে, তখন প্রবেশস্থানটা লাল হয়ে ভিষণ ফুলে যায়, সেখানে ছোট ছোট ফুসকুড়ি ও বের হয়, সেই সব ফুসকুড়ি তে সামান্য হলেও পুঁজ থাকে, পরে অবশ্য এই ফুসকুড়ি শুকিয়ে যায়
লার্ভা শরীরের ফুসফুসের ভেতর যত এগোতে থাকে ততই বাড়তে থাকে কাশি, কাশির সঙ্গে কফ বা রক্ত থাকাটাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক, কিন্তু যখন তারা ক্রমশ সংখ্যায় বেশি হয়ে অন্ত্রে প্রবেশ করে তখনই আসল সমস্যা(problem )তৈরি হয়, জেজুনামে ঢুকে সেখানে রক্ত খেতে শুরু করে ও এক জায়গায় রক্ত খাওয়া হলে অন্যত্র গিয়ে বাসা করে, চিকিৎসকদের মতে প্রতিটি অ্যাংকিলুস্টমা কৃমির জন্য দৈনিক 15 মিলিলিটার রক্ত ক্ষরণ হয়, এর ফলে অবধারিতভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি অ্যানিমিয়ায় ভুগতে থাকে, সঙ্গে খাবার খাওয়া সত্ত্বেও শরীরে থাকে অপুষ্টির যাবতীয় লক্ষণ, অ্যানিমিয়া বাড়তে বাড়তে শ্বাসকষ্ট, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া, হাফ ধরার সমস্যা হয়, হার্টে প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ না হওয়ায় বুকেও রীতিমত ব্যাথা হয়, যাকে বলে এনজাইনা পেকটোরিস, পেটে অত্যধিক কৃমি থাকলে অরুচি ডায়রিয়া কখনো কখনো ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণ প্রকাশ পায়
তবে সমস্যা (problem)হলো রোগটি যদি সঠিক সময়ে ধরা না পড়ে ও চিকিৎসা না হয় তাহলে রোগীর শরীরে রক্ত শূন্যতা ক্রমশ বাড়বে, শরীর ফুলে যাবে ও শেষে শয্যাশায়ী হতে হবে ও Heart failure এ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, পেটে কৃমি আছে কিনা তা ধরা মোটেই শক্ত নয়, অ্যানিমিয়া সন্দেহ করলে ও শরীর ফুলে যাচ্ছে দেখলে মল পরীক্ষা করাতে হবে ও মলে Hook Worm এর ডিম বা পূর্ণবয়স্ক কৃমি মিললে সেইমতো চিকিৎসা দরকার, হুক ওয়ার্ম সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন হওয়া দরকার, কেননা অনেক সময়ে এর উপসর্গের সঙ্গে আমাশা, ডায়রিয়া, ডিওডেনাল আলসার হাইপো থাইরয়েডিজম নেপ্রিটিক(Ulcers)আলসার, সিরোসিস অব লিভার এর উপসর্গ এক হতে পারে
* প্রতিকার হবে কিভাবে:- যেখানে সেখানে মলত্যাগ করবেন না, সেনিটারি টয়লেটের ব্যবস্থা করুন ও প্রয়োজনীয় পরিছন্নতা রাখুন, খালি পায়ে মাটির উপরে হাঁটবেন না, বিশেষ করে শিশির ভেজা ঘাসের উপর, এর ফলে কোন কারণে পা কেটে হোক ওয়ার্মের কৃমি শরীরে ঢুকে যেতে পারে
* Homeopathy চিকিৎসা :- লক্ষণ, কারণ ও মায়াজম মিলিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে উপকার পাওয়া যায় আমরা যে সমস্ত ওষুধ গুলো ব্যবহার করে সফল পাই সেগুলি হল সিনা, টিউক্রিয়াম, স্যাটুনিনাম প্রভৃতি তবে কখনোই Doctor এর পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয় কারণ চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধের শক্তি নির্বাচন করে থাকেন যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
*****
# বিড়ালের যে ব্যবহারে লজ্জা পাবেন আপনি #
* আমরা বাড়িতে অনেকেই বিড়াল পুষি তাদেরকে কত আদর করি নিজে যা খায় তাদেরকে সেটা খেতে দেই অনেকে (The cat) বিড়ালের জন্য তো আলাদা আলাদা মাছ রেখে দেয় এমনকি নিজের কম্বলের নিচে বিড়ালের জন্য একটু জায়গা করে দিই কত ভালোবাসি নিজের পোষা বিড়ালকে কিন্তু বিড়াল সম্পর্কে আপনি এই তথ্যটা জানলে অবাক তো হবেনই পাশাপাশি একটু লজ্জাও পেতে পারেন কেন? কারন মানুষ (The cat)বিড়ালের গায়ে হাত দেওয়ার পর বিড়ালরা নিজেদের গা পরিস্কার করে কারণ মানুষের গায়ের গন্ধ বিড়াল একদম পছন্দ করে না এবার বুঝলেন এদের ওজন টা? এবার নিজের কেমন একটু লজ্জা লজ্জা লক্ষ লাগছে না ?
No comments:
Post a Comment