* বদহজম হবার প্রধান কারণ হল গুরুপাক জাতীয় খাবার অর্থাৎ, প্রচুর তেল মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত কারণ, অতিরিক্ত তেল শরীরে শোষিত হওয়ার সময় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে দরকার হয়ে পড়ে তখন শরীরে স্বভাবতই Hydrochloric অ্যাসিডের ক্ষরণ কে বাড়িয়ে দেয় ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরিত হলে অম্বলের উপসর্গ দেখা দেবে, অতিরিক্ত টক খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে, কারণ টক পাকস্থলীর মধ্যে কোষ কে রক্ষা করার জন্য যে ক্ষারকীয় স্থর বা বাইকার্বনেট স্তর আছে তাকে নষ্ট করে দেয়, ফলে হাইড্রোক্লোরিক বেরুনোর পথ মুক্ত হয়ে যায় বাধাহীনভাবে, তখন হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাকস্থলীতে এসে জমা হয় এবং অম্বল তৈরিতে সাহায্য করে,
কাঁচা Onion juice পাকস্থলী পেপটিক গ্রন্থিগুলোকে উত্তেজিত করে, ফলে অম্লরস বা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়, তাই অম্বলের রোগীদের কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া উচিত, তামাক প্রীতি ছাড়তে হবে, সিগারেট, বিড়ি, Bloody, jordan, মিশ্রিত কিংবা সুপারি, দাঁতের মাজন হিসেবে তামাকের ব্যবহার প্রভৃতি নিকোটিন জাতীয় নেশাদ্রব্য বর্জন করতে হবে
Intoxicants বর্জন করাই হলো বদহজম, অম্বল তাড়ানোর প্রধান ঔষধ, কারণ প্রতিটি নেশা আমাদের শরীরের নার্ভগুলোকে প্রচন্ড ইরিটেট করে, তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়, তখন খাদ্য হজমে যতটা পরিমাণ অম্লরস প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক বেশি অম্ল রস বা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড গ্রন্থিগুলো থেকে নিঃসরণ হয়, অ্যালকোহল পাকস্থলীর গায়ে বাই কার্বনেট জ্বর বা ক্ষারকীয় স্তরকে নষ্ট করে দেয়, তাই মদ্যপান সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, খালি পেটে মদ্যপান তো কখনই নয়
https://youtu.be/NQD-N6gkCzQ
Grill, তৈলাক্ত খাদ্য, লঙ্কা বাটা, সরষে বাটা, আদা বাটা দিয়ে রান্না ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে কারণ, এগুলি হজমে অম্লরস বেশি দরকার হয়
যে কোন ব্যথা কষ্টে আমরা পেইনকিলার সহজে খেয়ে ফেলি যেমন, ব্রাফেন, ডাইক্লোনাক, অ্যাসপিরিন, স্যারিডন প্রভৃতি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর, এগুলি আমাদের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী এক প্রকার থকথকে জেলি পদার্থ বা প্রস্টা গ্লান্ডিন এর উপর প্রভাব ফেলে, এর ফলে শরীরে প্রস্টাগ্লান্ডিন নিঃসরণ যেমন বন্ধ হয়ে যায় ঠিক তেমনি উৎপন্ন হওয়াও বন্ধ হয়ে যায়, ফলে অম্ল রস বেরুনোর পথ পুরোপুরি খোলা থাকে এবং Stomach এ অম্লরসের পরিমান বহুগুনে বেড়ে যায়, দেখা দেয় অম্বলের বিভিন্ন উপসর্গ যার থেকে আলসার ও হতে পারে
বিভিন্ন fastfood যেমন স্যান্ডউইচ, এগরোল, মোগলাই, চিকেনরোল, চাওমিন, প্রভৃতি খাবারে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এই সব খাবার নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত তেল পাকস্থলীতে অম্লরসের ক্ষরণ কে বাড়িয়ে দেয়, ফলে acidity হতে বাধ্য, তাই এসব খাবার না খাওয়াই ভালো, কোল্ডড্রিংকস সহ সোডা মিশ্রিত কোন পানিয় পাকস্থলীর কোষগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য একটা ক্ষারকীয় স্থর ও আছে তা নষ্ট করে দেয়, ফলে Acid এর ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে সাময়িক উপশম হলেও তার পরবর্তী সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
Rocky coal, কেরোসিনের জ্বালানিতে রান্না করা খাবার অ্যাসিডের ক্ষরণে সাহায্য করে, তাই এতে রান্না করা খাবার না খাওয়াই ভাল, যাদের অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা নিয়মিত হতে থাকে তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পেঁপে, কাঁচা কলা, রাখলে পেট ভালো থাকে, আপেল, পেয়ারা, আনারস, আঙ্গুর, প্রভৃতি অম্বল নিবারণে সাহায্য করে, পুরনো চালের ভাত, চিড়ে, দুধ, ঘুল, অম্বলের রোগীদের জন্য খুব ভালো, এই খাদ্যগুলোকে সুপাচ্য বলে, অম্লরস পরিমাণ মতো হয়
এতসবের সাথে, অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে শুদ্ধ জল খেতে হবে, অম্বলের রোগীদের সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম জল এক গ্লাস খেলে খুব কাজ দেয়, অম্বল, গ্যাস, এসিডিটি কে দূরে রাখতে Just in time এ প্রতিদিন খাবার খাওয়া উচিত, আমরা যা খাই তা দু-তিন ঘণ্টার বেশি পাকস্থলীতে থাকেনা পাকস্থলী খালি হলে অকারণে অম্লরস ক্ষরিত হয়ে জমা হয় এবং অতিরিক্ত জমা জলে অম্বল এর উপসর্গ দেখা দেয়, তাই কিছু সময় অন্তর কিছু খাবার খাওয়া দরকার, অম্বলের রোগীদের বা যাদের গ্যাস বদহজমের সমস্যা থাকে, তারা খাওয়ার সময় জল খাবেন না, যে কোন খাদ্য দ্রব্য খাওয়ার সময় (Well)ভালো করে চিবিয়ে গলাধঃকরণ প্রয়োজন, কারণ আমাদের মুখ নিঃসৃত লালা পাকস্থলীতে অম্লরস ক্ষরণে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে
খাদ্য(Digest food)হজমে কতটা পরিমাণ অম্লরস প্রয়োজন তা নিয়ন্ত্রণ করে সিক্রিটিন নামক এক প্রকার হরমোন, কোন কারণে শরীরে এই হরমোন বাড়লে পাকস্থলীতে অম্লরস নিঃসরণ বাড়বে তাই হরমোনের ক্রিয়াকলাপ ঠিকঠাক চলছে কিনা সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার
Mentally ill মানুষ সবসময় ভাবে যে তার অম্বল হয়েছে, গলা, বুক, পেট, জ্বালা করছে, এগুলি আসলে এক ধরনের মানসিক বিকার, এমন কোন উপসর্গ তার শরীরে নেই - এইসব ভাবনা থেকেই অম্লরস Dripping বাড়তে পারে, তাই সেই ব্যক্তির মানসিক চিকিৎসা দরকার, কারণ বেশি চিন্তা, শোক, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার, তাই সবসময় মনকে সুস্থ ও আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন, প্রতিদিন সুনির্দিষ্ট সুষম আহার করা অবশ্যই দরকার, একসাথে অনেকটা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, কারণ পাকস্থলীতে খাদ্য বেশি পৌঁছে গেলে পাকস্থলীর পেশি সঞ্চালন ভালোভাবে হয় না, ফলে পেপটিক গ্রন্থিগুলি থেকে অম্লরস বেশি নিঃসৃত হয়
প্রতিদিন ঠান্ডা জলে স্নান করা অম্বল প্রতিরোধে সাহায্য করে, কারণ পরিবেশ এবং জলবায়ু আমাদের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া কে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে, দিনের বেলা ঘুমালে হজমের সমস্যা হয়, তাই দিনে না(Not sleeping)ঘুমিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি শোয়ার চেষ্টা করুন, তবে রাতে খাওয়ার পর একটু পায়চারি করুন, তাতে অম্বল, এসিডিটি আপনার শরীরকে ব্যতিব্যস্ত করবে না
* আরো পড়ুন :
* ভয়ঙ্কর কৃমি 'হুকওয়ার্ম' যা মানবদেহে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে * Terrible worm hookworm that survives by eating blood in the human body.
https://healthbasket99.blogspot.com/2019/08/terrible-worm-hookworm-that-survives-by.html
বদহজমের কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার
ReplyDelete