*আজকের ব্যস্ত(In today's busy life) জীবনে অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মানসিক ভারসাম্য নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, মনের অসুখ হলে লুকিয়ে না রেখে চিকিৎসা করানো দরকার, এই ব্যাপারটা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর Mental Health 1992 সাল থেকে অক্টোবর মাস কে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন, এক্ষেত্রে ইয়ং পিপল অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ইন এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড থিমের উপর ভিত্তি করে বিশ্বজুড়ে (Around the world) ছোটদের মনের স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছ
* শিশুদের মন খারাপ বাড়ছে :- বাবা-মা ব্যস্ত নিজেদের কর্মজগতে, দাদু ঠাকুমা থাকেন অন্য বাড়িতে, কাকা পিশি বা মামা মাশিরও অভাব, ছোট পরিবারে শিশুরা ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছে, আর একাকীত্ব থেকে বাড়ছে মানসিক সমস্যা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে যে বয়সন্ধির কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মনের অসুখ বাড়ছে 20% বয়সন্ধির ছেলেমেয়েদের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা যায়, 14 বছর বয়সের মধ্যে 50 শতাংশ এবং 24 বছর বয়সে 75% মনের অসুখ ধরা পড়ে, ছোটরা 70 শতাংশ ক্ষেত্রে 18 বছরের মধ্যে কোন না কোন সময় মানসিক সমস্যার শিকার হয়, বড়রা তা বুঝতে না পেরে(bawl) বকাবকি আর মারধর করলে সমস্যা বেড়ে গিয়ে আত্মহনন পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, বিভিন্ন মনের অশোকের মধ্যে আছে আংজাইটি, ডিপ্রেশন, ইটিং ডিজঅর্ডার, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, ইত্যাদি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনের Symptoms of illness হিসেবে চুপচাপ বসে থাকা, চিৎকার-চেচামেচি জিনিসপত্র ভাঙচুর, মারধর, আত্ম হত্যার কথা বলা ও চেষ্টা করা ইত্যাদি দেখা যায়, এমনকি স্কুলের সহপাঠীদের মধ্যেও হিংসা মারামারির প্রবণতা বাড়ছে,* বাচ্চাকে smartphone দেবেন না :- রিচি রিচ কে চেনেন ? 12 বছরের এই Boy কে আপনারা না চিনলেও কার্টুন চ্যানেল এর দৌলতে বাড়ির বাচ্চাদের কাছে রিচি রিচ খুব বিখ্যাত, বিশ্বের ধনীতম এই বালকের নিজস্ব একটি উড়োজাহাজ ও আছে, মধ্যবিত্ত বাড়ির kids রা অনেক সময় নিজেকে রিচি রিচ এর সঙ্গে তুলনা করে, মা-বাবার কাছে যা ইচ্ছে তাই চায় মা-বাবার পক্ষে সব আবদার মেটানো সম্ভব নয়, ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তবকে মেলাতে না পারায় সমস্যা বাড়ছে, বাচ্চা থেকে বড় সকলের মনের অসুখের এক অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, এর থেকে বার করার দায়িত্ব অবশ্যই বাবা-মা সহকাছের মানুষদের, একই সঙ্গে school এর 1 টা দায়িত্ব আছে তবে সবার আগে সচেতন হতে হবে বাড়ির মানুষদের, বাবা-মা নিজেরাই যদি ইন্টারনেট অ্যাডিক্টেড হন, বাচ্চাদের সময় দেবেন কিভাবে? কাছেরমানুষদের সঙ্গ না পেলে বাচ্চাদের সমস্যা হবেই, শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই মনের অসুখ এর পেছনে একাকীত্ব একটা বড় কারণ
* Friendsএর সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খেতে শেখান :- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্কুলে যাওয়ার সময় মায়েরা বাচ্চাদের শিখিয়ে দেন যে পুরো টিফিনটা যেন সকলের অলক্ষ্যে নিজেই খেয়ে নেয়, বন্ধুদের ভাগ দিতে মানা করেন আর এর থেকেই শিশু বয়সে বাচ্চার মনে হিংসার বীজ বপন করে, এর জন্য কিন্তু বড়দের ভূমিকা নেহাত কম নয়, বিশেষ করে ছোট থেকে বাবা মাকে যেমন আচরণ করতে দেখে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আচরণের তার ছাপ পড়ে, বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলার সূত্রপাত, এমনকি কোন সহপাঠী যদি তার থেকে এক দুই নম্বর বেশিপায় তাই নিয়েও অনেক মা-বাবা তুলনা করে বাচ্চাটিকে হেয় করেন, এমনকি মারধর করতেও দ্বিধা করেন না, এর থেকেই কিন্তু বাচ্চাদের মনে হিংসার সৃষ্টি হয়, বাচ্চাকে ভালো মানুষ হতে শেখান, ক্লাসে first হওয়া কে Life এর লক্ষ্য বেঁধে দিলে ভবিষ্যতে যে ভাল মানুষ হবে তা কিন্তু নয়, এছাড়া পড়াশোনা নিয়ে অতিরিক্ত চাপ দিলে পড়ার প্রতি বাচ্চাদের অনীহা তৈরি হবে, এ কথা বোঝা উচিত, বাচ্চাকে ভালো ব্যবহার শেখাতে হলে নিজেদের ও সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা দরকার, ছোটদের সামনে কখনো সহকর্মী বা বসের নিন্দে অথবা আত্মীয়দের নিন্দে ও সমালোচনা করবেন না, সব থেকে বড় কথা ছোটদের সব সময় একটা নিয়মের মধ্যে বড় করে তোলা উচিত, একমাত্র সন্তান হওয়ায় তাকে আদর দিয়ে মাথায় তুলবেন না, নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে বড় করে তুলুন, প্রতিটা মানুষকে সম্মান করতে শেখানো, তবেই মনে সমস্যার মোকাবেলা করা সহজ হবে
No comments:
Post a Comment