** মানুষের বয়স বাড়লেই গাঁটে গাঁটে ব্যথা, প্রায় প্রতিটি মানুষেরই হয় কারণ জানার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্ত পরীক্ষায় অনেক সময় ধরা পড়ে যে রোগ তার নাম ইউরিক এসিড,
তবে ইউরিক এসিডের রোগ কিন্তু এখন আর বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, নাইট ডিউটি, ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড, এর বাড়বাড়ন্ত বেশি পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ অতিরিক্ত মদ্যপান শারীরিক পরিশ্রমের বিমুখী হওয়া এখন ছাড়ছে না নাইন- ওয়ান কেও, আর এখন গুগল সার্চিং আধুনিক প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেটে চিকিৎসকের বিকল্প, অথচ এ কথা জেনে রাখা একান্ত জরুরী যে প্রচলিত চিকিৎসায় ইউরিক অ্যাসিডের ব্যাথা সাময়িক কমলেও সম্পূর্ণ আরোগ্য এখন দুরাশা, সারা জীবন (Throughout life) ঔষধ খেতে তো হয়ই উপরন্ত ঠিক ভাবে না বুঝে ইউরিক এসিডের ঔষধ খেলে মারাত্মক সাইড এফেক্ট এমনকি মৃত্যু অবধি হতে পারে,
বর্তমানে আধুনিক হোমিওপ্যাথি এই সমস্যাকে চিরতরে নির্মূল( Eliminated) করতে পারে, তাই আসুন দেখা যাক হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে কিভাবে ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
* কেন বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড :- আমাদের শরীরের কোষের মধ্যে থাকে DNA ও RNA, DNAএর অন্যতম উপাদান পিউরিন, পিউরিন মেটাবলিজমের সর্বশেষ পরিনতি হলো ইউরিক এসিড, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তবে কিডনির যদি কোন সমস্যার জন্য এই ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাব দিয়ে ঠিকমতো না বেরুলে অথবা অত্যধিক পরিমাণে উৎপন্ন হলে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড গাঁটে গাঁটে ব্যথার সৃষ্টি করে
*কাদের বেশি হয় :- বংশগত যাদের বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারোর এই রোগের ইতিহাস থাকে, কোন লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও ইউরিক এসিডের লেভেল বেড়ে যায়
*খাবার দাবার (Food and drink) :- কোলড্রিংস, ভাজাভুজি, রেডিমেড প্যাকেটজাত প্রসেসড খাবার, ফাস্টফুড, অত্যধিক প্রাণিজ প্রোটিন, লাল মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি বেশি খেলে
* নেশা ধুমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান করলে
* শরীরের ওজন (Body weight) অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
* কি কি লক্ষণ হয় ইউরিক এসিড বাড়লে :- রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে 7mg % এবং 6mg%, তবে যেসব মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য 7mg% পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যায় অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইউরিক এসিডে এসিডের মাত্রা 8-9mg% থাকলেও কোন ব্যথা থাকে না সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই রোগীর ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গাঁটে জমতে শুরু করলে ব্যাথা হয় প্রথম লক্ষণ হিসেবে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল প্রচন্ড ব্যাথা হয় আঙ্গুল ফুলে লাল হয়ে যায় সঙ্গে জ্বর থাকে একেই গাউট বলে, চিকিৎসায়(In the treatment) প্রাথমিক ব্যথা সেরে গেলেও ইউরেটস জমে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জয়েন্ট এ প্রচন্ড ব্যাথা হয়, রোগ পুরনো হয়ে গেলে বুড়ো আংগুল ও জয়েন্ট এর আকার ফুলে বিকৃত আকার ধারণ করে, একেই বলে গাউট ট্রফি, কিডনিতে ইউরেটস জমলে KIDNEY তে পাথর সৃষ্টি হয় তাই বারবার কিডনি স্টোন হলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা নির্ণয় করে দেখে নেওয়া উচিত,
* চিকিৎসা :- আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ইউরিক এসিডের সমস্যা সম্পূর্ণ ছেড়ে যাওয়া সম্ভব অবশ্যই ধূমপান মদ্যপান জাঙ্ক ফুড রেডিমেড প্রসেসড ফুড যেগুলি ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়ায় তা বর্জন করতে হবে, Purine আছে বেশি পরিমাণে এমন খাদ্যদ্রব্য রোগীকে খেতে দেবেন না
বিজ্ঞানীদের মতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে তা ইউরিক অ্যাসিড কে প্রশমিত করতে সাহায্য করে লেবুর ভিটামিন সি ও একই কাজ করে তাই ইউরিক এসিডের সমস্যায় বেশি দুধ ও lemon খাওয়া উচিত, পাশাপাশি একথাও মনে রাখতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক তথ্যই নিয়মিত পরিবর্তনশীল আজ যেটা ঠিক কার সেটা ভুল প্রমাণিত হতেও পারে তাই তথ্যের কচ কোচা নিতে না ঢুকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করাই ভালো অর্থাৎ যার যে খাবারে ব্যথা বাড়ছে না কমছে বলে অনুভব করবেন তিনি সেই অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ বা বর্জন করবেন,
তবে spinach, পুঁইশাক বিন ডিম খাসির মাংস টমেটো সস করায় ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বন্ধ রাখাই ভালো হালকা শাকসবজি গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা বা ফিজিওথেরাপি করা দরকার,
*Miasmatic views :- মূলত সূরা ও সাইকোসিস মায়াজম এই ইউরিক এসিড রোগের নেপথ্যে বিরাজ করে ইউরিক অ্যাসিড রোগে আধুনিক হোমিওপ্যাথি কিছু ওষুধ হল Bryo, Lyco, Colchicum , Ammon, Benz, Ammon phos, Formica, Rufa, Ledum, Lithium, UrticaU, Fraxi.... ইত্যাদি, ইউরিক এসিডে আধুনিক হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো ফল পাওয়া যায় রোগী জয়েন্ট এর ব্যথায় কাতর চলাচলে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষম নিয়মিত আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সুস্থ জীবন (Healthy life) ফিরে পেয়েছেন এমন অনেকেই আছেন তবে যেহেতু প্রতিটি রোগী মানসিক শারীরিক সামাজিক ও বংশ ইতিহাস বিভিন্ন তাই বেঁধে অভিনয় আর এটাই হোমিওপ্যাথির নিজস্ব বিজ্ঞান তার বৈশিষ্ট্য তার সৌন্দর্য তাই সর্বদাই কোন অভিজ্ঞ আধুনিক হোমিওপ্যাথির পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন তবেই ইউরিক অ্যাসিড থেকে আরোগ্যের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে কারণ ওষুধের শক্তি ও মাত্রা নির্ধারণের ব্যাপার আছে নতুবা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়
তবে ইউরিক এসিডের রোগ কিন্তু এখন আর বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, নাইট ডিউটি, ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড, এর বাড়বাড়ন্ত বেশি পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ অতিরিক্ত মদ্যপান শারীরিক পরিশ্রমের বিমুখী হওয়া এখন ছাড়ছে না নাইন- ওয়ান কেও, আর এখন গুগল সার্চিং আধুনিক প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেটে চিকিৎসকের বিকল্প, অথচ এ কথা জেনে রাখা একান্ত জরুরী যে প্রচলিত চিকিৎসায় ইউরিক অ্যাসিডের ব্যাথা সাময়িক কমলেও সম্পূর্ণ আরোগ্য এখন দুরাশা, সারা জীবন (Throughout life) ঔষধ খেতে তো হয়ই উপরন্ত ঠিক ভাবে না বুঝে ইউরিক এসিডের ঔষধ খেলে মারাত্মক সাইড এফেক্ট এমনকি মৃত্যু অবধি হতে পারে,
বর্তমানে আধুনিক হোমিওপ্যাথি এই সমস্যাকে চিরতরে নির্মূল( Eliminated) করতে পারে, তাই আসুন দেখা যাক হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে কিভাবে ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
* কেন বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড :- আমাদের শরীরের কোষের মধ্যে থাকে DNA ও RNA, DNAএর অন্যতম উপাদান পিউরিন, পিউরিন মেটাবলিজমের সর্বশেষ পরিনতি হলো ইউরিক এসিড, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তবে কিডনির যদি কোন সমস্যার জন্য এই ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাব দিয়ে ঠিকমতো না বেরুলে অথবা অত্যধিক পরিমাণে উৎপন্ন হলে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড গাঁটে গাঁটে ব্যথার সৃষ্টি করে
*কাদের বেশি হয় :- বংশগত যাদের বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারোর এই রোগের ইতিহাস থাকে, কোন লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও ইউরিক এসিডের লেভেল বেড়ে যায়
*খাবার দাবার (Food and drink) :- কোলড্রিংস, ভাজাভুজি, রেডিমেড প্যাকেটজাত প্রসেসড খাবার, ফাস্টফুড, অত্যধিক প্রাণিজ প্রোটিন, লাল মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি বেশি খেলে
* নেশা ধুমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান করলে
* শরীরের ওজন (Body weight) অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
* চিকিৎসা :- আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ইউরিক এসিডের সমস্যা সম্পূর্ণ ছেড়ে যাওয়া সম্ভব অবশ্যই ধূমপান মদ্যপান জাঙ্ক ফুড রেডিমেড প্রসেসড ফুড যেগুলি ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়ায় তা বর্জন করতে হবে, Purine আছে বেশি পরিমাণে এমন খাদ্যদ্রব্য রোগীকে খেতে দেবেন না
বিজ্ঞানীদের মতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে তা ইউরিক অ্যাসিড কে প্রশমিত করতে সাহায্য করে লেবুর ভিটামিন সি ও একই কাজ করে তাই ইউরিক এসিডের সমস্যায় বেশি দুধ ও lemon খাওয়া উচিত, পাশাপাশি একথাও মনে রাখতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক তথ্যই নিয়মিত পরিবর্তনশীল আজ যেটা ঠিক কার সেটা ভুল প্রমাণিত হতেও পারে তাই তথ্যের কচ কোচা নিতে না ঢুকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করাই ভালো অর্থাৎ যার যে খাবারে ব্যথা বাড়ছে না কমছে বলে অনুভব করবেন তিনি সেই অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ বা বর্জন করবেন,
তবে spinach, পুঁইশাক বিন ডিম খাসির মাংস টমেটো সস করায় ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বন্ধ রাখাই ভালো হালকা শাকসবজি গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা বা ফিজিওথেরাপি করা দরকার,
*Miasmatic views :- মূলত সূরা ও সাইকোসিস মায়াজম এই ইউরিক এসিড রোগের নেপথ্যে বিরাজ করে ইউরিক অ্যাসিড রোগে আধুনিক হোমিওপ্যাথি কিছু ওষুধ হল Bryo, Lyco, Colchicum , Ammon, Benz, Ammon phos, Formica, Rufa, Ledum, Lithium, UrticaU, Fraxi.... ইত্যাদি, ইউরিক এসিডে আধুনিক হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো ফল পাওয়া যায় রোগী জয়েন্ট এর ব্যথায় কাতর চলাচলে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষম নিয়মিত আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সুস্থ জীবন (Healthy life) ফিরে পেয়েছেন এমন অনেকেই আছেন তবে যেহেতু প্রতিটি রোগী মানসিক শারীরিক সামাজিক ও বংশ ইতিহাস বিভিন্ন তাই বেঁধে অভিনয় আর এটাই হোমিওপ্যাথির নিজস্ব বিজ্ঞান তার বৈশিষ্ট্য তার সৌন্দর্য তাই সর্বদাই কোন অভিজ্ঞ আধুনিক হোমিওপ্যাথির পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন তবেই ইউরিক অ্যাসিড থেকে আরোগ্যের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে কারণ ওষুধের শক্তি ও মাত্রা নির্ধারণের ব্যাপার আছে নতুবা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়
No comments:
Post a Comment